Join in Bangladesh Army – BMA Special Course – 22
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে অফিসার হিসেবে যোগদিন। ২০২২ সালের বিএমএ স্পেশাল কোর্সের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। যেখানে বিবাহিত এবং অবিবাহিত পুরুষ ও মহিলা প্রার্থীদের আবেদন করার সুযোগ দেয়া হয়েছে। তাই আবেদন করার আগে বিস্তারিত জানুন। আপনি নিচে উল্লেখিত “Download HD Circular” এ ক্লিক করে বিজ্ঞপ্তটি ডাউনলোড করে নিতে পারেন। কারণ আবেদন করার আগে একজন প্রার্থীকে অবশ্যই বিজ্ঞপ্তিটি খুব ভালোভাবে দেখা উচিত।
Click Here to Download HD Circular
সেনা অফিসার হওয়ার ক্যাটাগরী প্রসঙ্গেঃ
সত্যিকার অর্থে, সাধারণত সেনাবাহিনীতে সরাসরি কমিশন্ড অফিসার পদে যে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়, সেখানে এসএসসি ও এইচএসসি পাশ করার পর (জিপিএ-৫ নিয়ে), একজন প্রার্থী আবেদন করতে পারে। আর এই সরাসরি কমিশন্ড অফিসার পদে শতকরা ৯৫ ভাগ ক্যাডেট কলেজের ছাত্র/ছাত্রী চান্স পেয়ে থাকে। ক্যাডেট কলেজের সকল ছাত্র/ছাত্রীই অত্যন্ত মেধাবী এবং সেনা অফিসার কর্তৃক শিক্ষা ব্যবস্থাকে নিয়ন্ত্রণ করা হয়। কাজেই জেনারেল শাখার স্টুডেন্টরা ক্যাডেট কলেজের ছাত্র ছাত্রীদের সাথে প্রতিযোগীতায় পেরে উঠেনা। তাই অত্যন্ত নিম্নসংখ্যক প্রার্থী সরাসরি কমিশন্ড অফিসার পদে চান্স পেয়ে থাকে। কিন্তু চলতি নিয়োগে বিশেষ ক্যাটাগরিতে সেনা অফিসার হওয়া সম্ভব। কারণ বিএমএ স্পেশাল কোর্সের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করার মূল উদ্দেশ্য হলো। সেনাবাহিনীতে নির্ধারিত কিছু কোর বা শাখায় বিশেষ বিশেষ কিছু দায়িত্ব-কর্তব্য রয়েছে যেখানে আবার বিশেষ ডিগ্রি বা নির্ধারিত বিষয়ে অভিজ্ঞতা ও সনদ অর্জনকারীদের প্রয়োজন হয়। আর তাই সেজন্যই বিশেষভাবে এই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। এই নিয়োগটি সাধারণত প্রতি বছরই প্রকাশ করা হয়।
নিয়োগ প্রসঙ্গেঃ
চলতি নিয়োগে ৫৮ তম বিএমএ স্পেশাল কোর্স হিসেবে ইঞ্জিনিয়ার, সিগন্যাল, ইএমই ,এইসি এবং ৫১ তম ডিএসএসসি এর আওতায় আরভিএন্ডএফসি কোরে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে।
শিক্ষাগত যোগ্যতা এবং শারিরীক ও অন্যান্য সকল যোগ্যতা নিয়ে বিস্তারিত ভিডিও আপলোড করা রয়েছে আমাদের ইউটিউবে চ্যানেলে। ভিডিউটি দেখুন।
আবেদনের সময়সীমা এবং বয়সঃ
আগামী ০১ জানুয়ারি ২০২৩ সালে অনূর্দ্ধ আটাশ বছর অবদী আবেদন করা যাবে। অর্থাৎ ওই তারিখে আপনার সর্বোচ্চ আটাশ বছর হবে, এর বেশি হলে আবেদন করতে পারবেন না। অবিবাহিত উল্লেখ থাকলেও, আপনার যদি আগামী ০১ জানুয়ারি ২০২৩ তারিখে ২৬ বছরের বেশি হয়ে থাকে, তাহলে আপনিও আবেদন করতে পারবেন। আর মেয়েদের ক্ষেত্রে বিবাহিত এবং অবিবাহিত প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন। তবে চাকরীর বয়সসীমা একই। ০৫ আগস্ট ২০২২ তারিখ থেকে আগামী ২৭ আগস্ট ২০২২ তারিখ পর্যন্ত আবেদন করা যাবে।
শিক্ষাগত যোগ্যতার বিবরণঃ
৫৮ তম বিএমএ স্পেশাল কোর্স / 58th BMA Special Course – 2022
১। ইঞ্জিনিয়ার্স কোরঃ আপনার যদি এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষাযর ফলাফলে জিপিএ – ৪.৫০ সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং-এ বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং পরীক্ষায় অন্তত সিজিপিএ – ৩.০০ পয়েন্ট তথা প্রথম শ্রেনীতে পাশ থাকে (আউট অব ফোর) তাহলেই আপনি আবেদনের জন্য যোগ্য (শিক্ষাগত যোগ্যতার দিক থেকে)।
২। সিগন্যালস্ কোরঃ এসএসসি এবং এইচএসসি পরীক্ষায় একই জিপিএ এবং কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং-এ বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং পরীক্ষায় অন্তত সিজিপিএ – ৩.০০ পয়েন্ট তথা প্রথম শ্রেনীতে পাশ থাকে (আউট অব ফোর) তাহলেই আপনি আবেদনের জন্য যোগ্য।
৩। ইএমই কোর যার অর্থ ইলেকট্রিক্যাল এন্ড মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং কোরঃ এসএসসি এবং এইচএসসি পরীক্ষায় একই জিপিএ এবং নেভাল আর্কিটেকচার এন্ড মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং-এ অথবা এ্যারোনোটিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং-এ বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং পরীক্ষায় অন্তত সিজিপিএ – ৩.০০ পয়েন্ট তথা প্রথম শ্রেনীতে পাশ থাকে (আউট অব ফোর) তাহলেই আপনি আবেদনের জন্য যোগ্য।
৪। সেনা শিক্ষা কোর বা আর্মি এডুকেশন কোর যার সংক্ষেপ রুপ এইসি কোরঃ এসএসসি ও এইচএসসিতে অন্তত জিপিএ – ৪.০০ থাকতে হবে এবং গণিতে ণূন্যতম সিজিপিএ – ৩.০০ পয়েন্ট তথা প্রথম শ্রেনীতে পাশ থাকে (আউট অব ফোর) তাহলেই আপনি আবেদনের জন্য যোগ্য।
৫১ তম ডিএসএসসি / 51th DSSC of BD Army
৫। আর ভিএন্ড এফসি কোরঃ আবেদনরে সমসয়সীমা এবং প্রার্থীর বয়সের ও শারিরীক যোগ্যতা একই। শুধু মাত্র শিক্ষাগত যোগ্যতায় রয়েছে কিছৃ পার্থক্য। যেমন – এসএসসি এবং এইচএসসি উভয় পরীক্ষায় জিপিএ – ৪.০০ এবং বিএসসি (সম্মান)। ভেটেরিনারি/Veterinary Science & AH/DVM ডিগ্রীসহ (ইন্টার্নশীপ সম্পন্ন থাকতে হবে) সিজিপিতে অন্তত ৩.০০ প্রাপ্ত হতে হবে (আউট অব ফোর)। তাহলে আপনি আবেদনের জন্য যোগ্য।
নির্বাচন পদ্ধতি প্রসঙ্গেঃ
প্রথমে লিখিত পরীক্ষা এবং প্রাথমিক স্বাস্থ্য ও মৌখিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। যারা এই ধাপ গুলোতে নির্বাচিত হবেন। কেবল তারাই ঢাকা সেনানিবাসের আইএসএসবি (ISSB – Inter-Services Selection Board) চার দিনের পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য কল আপ লেটার দিবে। যা অনলাইন থেকে ডাউনলোড করে নিতে হয়। এই চার দিনের পরীক্ষার জন্য থাকা ও খাওয়া যাবতীয় খরচ সরকারীভাবে বহন করা হয়। শুধুমাত্র নিজের প্রয়োজনীয় পোশাক পরিচ্ছেদ নিয়ে যেতে হয়। যারা এই চারদিনের পরীক্ষার শেষ দিন অবদী টিকে যায় বা চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত হয় তাদেরকে গ্রিন কার্ড বা নিয়োগপত্র প্রদান করা হয়। নির্দিষ্ট তারিখে একজন সেনা অফিসার ক্যাডেট হিসেবে বিএমএতে প্রশিক্ষণ শুরু হয়। এভাবেই একজন সেনা অফিসারের কর্মজীবন শুরু হয়। যিনি দেশের গর্বীত সেনা অফিসার হিসেবে পরিগণিত হন সর্বজনে। অনেক অনেক শুভ কামনা জানিয়ে এখানেই শেষ করছি। বিস্তারিত জানুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল থেকে।
Pingback: ভূয়া সেনা অফিসার গ্রেপ্তার হলো বাংলাদেশে (ক্যাপ্টেন পরিচয়ে)
Pingback: বাংলাদেশ নৌ বাহিনীর নাবিক ও এমডিসি পদের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ২০২২