পদ্মাসেতুর রেলিং এর নাট-বল্টু খোলা এবং সেতুতে প্রস্রাব করা প্রসঙ্গে
যমুনা সেতুতে যারা গিয়েছেন তারা নিশ্চয়ই জানেন যে, এখনো বিদেশী কর্মীসহ দেশী কর্মীরা সেতুর রক্ষণাবেক্ষণে এবং সার্বিকভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। আর গাড়ি থামিয়ে হাটা তো প্রশ্নই আসেনা। পদ্মা সেতুর ভিক্তি বা মূল কাঠামো আর পদ্মা সেতুর রেলিং কিন্তু আলাদা সেক্টর । রেলিং-এ রঙ করা থেকে শুরু করে নানা কাজ এখনো প্রক্রিয়াধীন এবং রক্ষাবেক্ষণ এর কাজ বহু বছর চলমান থাকবে। উদ্বোধন হওয়া মানেই কি পদ্মা সেতুর শতভাগ কাজ শেষ? নিশ্চয়ই না। তাই সেতুর মূল ভিক্তির কাজ শতভাগ সম্পন্ন হলেও অন্যান্য কাজ চলমান রয়েছে/থাকবে। রেলিং এর নাট শক্ত মজবুদ করা যেতেই পারে, কিন্তু আপনি/আমি যতক্ষণ স্ব-ইচ্ছায় না খুলবো সেটা প্রাকৃতিক ভাবে যে খুলে যাবে, সেটা অসম্ভব প্রায়, এটা সবাই বুঝি। পদ্মা সেতুর মূল ভিক্তির কাজ শতভাগ সম্পন্ন হয়েছে এটা ঠিক কিন্তু খুটি নাটি অনেক কাজের উপর নিয়মিত পর্যবেক্ষণ এবং কাজ চলমান থাকবে। এটা প্রত্যেককেই জরুরীভাবে জানা উচিত।
সেতু কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যেই সেনাবাহিনীকে চিঠি দিয়েছে, বিভিন্ন দায়িত্ব গ্রহণের উপর। অন্যান্য আইন শৃঙ্খলা বাহিনী আমাদের দেশের “ আবেগী বাঙালীকে” নিয়ন্ত্রণ করতে হিমশিম খেলেই, সেনাবাহিনী কঠোরভাবে দায়িত্ব পালন শুরু করবে। আজ প্রথম দিনেই, প্রস্রাব করা , টিস্যু ফেলা, টিকটক করা, সারিবদ্ধভাবে গাড়ি থামিয়ে সেলফি তোলা ইত্যাদি ঘটনা ঘটিয়ে বাঙালী প্রমাণ করে দিয়েছে যে, কতটা আবেগী। (আবেগীই বললাম, কারণ কটুক্তি করে কোন কিছু বলার সাধ্য কই, আমরা তো বাঙালীর উর্ধ্বে নই, যদিও ব্যবহারই বংশের পরিচয় ) !!!
রেলিং এর নাট এটা খোলা কোন দুঃসাধ্য কাজ নয়, এটা চাইলেই খোলা যাবে। খুবই স্বাভাবিক বিষয়। আবার কর্তৃপক্ষ চাইলেই সময় নিয়ে কোন ধাতব বস্তু দিয়ে শক্তভাবে লক করেও দিতে পারে। যদিও রেলিং এর ক্ষেত্রে এটা প্রথম প্রাইরোটির কোন বিষয় নয়। সকল সেতুতে এভাবেই নাট লাগানো থাকে। যদিও হাত দিয়ে খুলে ফেলা যাবে সেটাও কিন্তু অসম্ভব। (আপনি টিউবলের নিচে থাকা নাট গুলো হাত দিয়ে খুলতে পারবেন? চেষ্টা করে দেখেন তো! আর রেলিং এর নাম তার থেকেও অনেক বেশি প্যাচের এবং মজবুদ, সুতরাং প্রশ্নই আসেনা)। নিরপেক্ষ ভাবে বলতে গেলে , নাট শক্ত করার দায়িত্বে থাকা শ্রমিক বা কর্মীগণ নিশ্চয় সরাসরি ইঞ্জিনিয়ার কেউ ছিলেন না, তারা বাংলাদেশী সাধারণ শ্রমিক ছিলেন। হ্যাঁ চেকিং এর দায়িত্বে অবশ্যই লোক ছিলো, তাই বলে সবাই শতভাগ দায়িত্ব পালন করেন কি? করেন না।
যাইহোক ইতিমধ্যেই গ্রেপ্তার হওয়া যুবক স্বীকারোক্তিও দিয়েছেন যে, তিনি হোন্ডায় থাকা টুলস দিয়ে রেলিং এর নাট খুলেছেন। সকলকে অনুরোধ !!! দয়াকরে নিজের দেশের সম্পদের প্রতি যত্নশীল হউন; পজিটিভ চিন্তুা করুণ; প্রাপ্ত জিনিস নিয়ে সন্তুষ্ট থাকার চেষ্টা করুণ (যদি একান্তই ব্যাক্তিগত কোন কিছুর সাথে সম্পর্কযুক্ত বস্তু বা জিনিস না হয়)! ধন্যবাদ। – আর্মি মাল্টিমিডিয়া